দেবদেবীদের প্রাচীন মূর্তি |
হিমালয়ের
ছায়ায় ছোট একটি দেশ নেপাল। বরফের আবরণে আবৃত ছোট এই দেশটির অধিকাংশ
মানুষই হিন্দু ধর্ম অবলম্বী। পাহাড়ের চূড়ায় সৌন্দর্যের প্রতিক হিসেবে রয়েছে দেবদেবীদের মন্দির। এইসব মন্দিরে রয়েছে দেবদেবীদের প্রাচীন মূর্তি। যেগুলো দামী পাথর আর সূক্ষ কারুকার্যের
তৈরি।
বৈশ্বিক
শিল্প বাজারে, হিমালয় পাদদেশের দেবতাদের মূর্তির দাম লক্ষ লক্ষ ডলার। কিন্তু নেপালিদের কাছে তারা জীবন্ত দেবতা। এই দেবতাদের মূর্তি
শিল্প একটি প্রাচীন সংস্কৃতি।
বর্তমান
আধুনিক যুগে প্রাচীন শিল্পকর্মের প্রতি শিল্প বিশ্বের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। আর আধুনিক শিল্প
বিশ্বের এই ক্ষুধাই একটি
প্রাচীন সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য যতেষ্ট।
নেপালের
ধর্মীয় কোষাগার থেকে শুরু করে রাজধানী কাঠমন্ডু সহ প্রাচীন বৌদ্ধ
মন্দির পর্যন্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক কালোবাজারের প্রভাব।
১৯৮০-এর দশকে, কর্তৃপক্ষ
অনুমান করে যে চোরেরা হাজার
হাজার নেপালি প্রাচীন ঐতিহ্যকে লুন্ঠন করেছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ধর্মীয়
শিল্পকর্ম চুরি এবং প্রতি বছর ৮ বিলিয়ন ডলারেরও
বেশি দামে বিক্রি হয়েছে অবৈধ শিল্পের কালোবাজারে।
নেপালীরা
অনেক আগে থেকেই বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধন সম্পদ লুণ্ঠন
বন্ধের জন্য দাবি করছে।
নেপালীদের
মতে এই সমস্ত চোরা
কারবারি তাদের সম্প্রদায়কে এবং তাদের উপাসনার বিষয়বস্তুকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা মনে করে যে, যখন চোরেরা তাদের শতাব্দীর মূর্তি ও দেবদেবীদের দিকে
তাকায়, তখন লক্ষ লক্ষ ডলার লাভ করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাদের কাছে এই শতাব্দীর মূর্তি
জীবন্ত দেবদেবী। তারা মনে করে যে চোরের দল
তাদের জীবনের একটি প্রাচীন উপায় ধ্বংস করে ফেলছে।
এই
সমস্ত চোরাকারবারি বন্ধ না হলে বিশ্বের
বুক থেকে একটি প্রাচীন সংস্কৃতি মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র:-
Al Jazeera