আমরা প্রেমে পড়ি কেন ?

আমরা প্রেমে পড়ি কেন ?




মেরেছিস কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না !!

প্রেমে পড়তে কোন বয়স লাগে না। কারন প্রেমের দেবতা তীর ছোঁরে নির্বিচারে কোন সতর্কবাণী ছাড়াই। তবে যারা প্রেমে পড়ে তারা যে নিছক বোকা তা কিন্তু নয়।

প্রেম এমন এক জিনিস যা প্রায়শই শিল্পীদের, কবিদের এবং রোমানটিকদের মুগ্ধ করে। তাই আসলে আমাদের প্রেমে পড়ার কারণ কী ?

একটু বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা দেই -

ভালোবাসার কারণ ও প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানী ও রোমান্টিকদের আকৃষ্ট করেছে।
 
এমন কি ২০১৫ সালে, জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর দ্বিতীয় অনুসন্ধান শব্দ ছিল ভালোবাসা কি?

জানা গেছে যে, একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রেমের আসক্তি মাদকের আসক্তির মতই সমান। স্নায়ুবিদরা আবিষ্কার করেছেন যে প্রেম মানুষের মস্তিষ্ককে পরিবর্তন করে দিতে পারে।

আইনস্টাইন এর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে যে ‘আপনি প্রেমে পড়ার জন্য মহাকর্ষকে দোষ দিতে পারেন না।’

তাই এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান কি বলে ? আমরা কাকে দোষ দিব ?

তাহলে চলুন খুঁজে বের করা যাক প্রেমের দেবতা কিউপিডের রসায়নের কারন।

প্রাথমিক পর্যায়ে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রজেন কাজে নেমে পড়ে। হরমোন টেস্টোস্টেরন আসলে পুরুষদের মধ্যে কমে যায় কিন্তু এটি মহিলাদের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। একবার বসতি স্থাপন করতে পারলেই আকর্ষণ শুরু হয়ে যায়। সৌন্দর্যের এই পর্যায়টি নিউরোট্রান্সমিটার দ্বারা চালিত হয় এবং একে বলা হয় মনোমাইনস।

আকর্ষণ বিষয়টা প্রেমিক-প্রেমিকাদের যে কোন ধরনের অদ্ভুত প্রভাবের দ্বারা হতে পারে। ভাগ্যবানরা খুব অল্প সময়েই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে সম্পর্ক দৃঢ় বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার বিষয়টা নির্ভর করে অক্সিটোকিন নামক হরমোন এর উপর। মাঝে মাঝে একে ‘প্রেম হরমোন’ ও বলা হয়।

প্রেম হচ্ছে স্বর্গীয় জিনিস। একটু ভাল লাগা থেকেই হতে পারে প্রেমের উপত্তি।

Post a Comment

Previous Post Next Post