ভূতুড়ে মন্দির |
ভূত বলতে কিছু নেই, এটা
অনেকের বিশ্বাস। আবার সত্যিই ভূত বলতে কিছু না কিছু আছে এটাও অনেকে বিশ্বাস করে।
আর সেরকম কিছু ভূতুড়ে কর্মকাণ্ডের হদিস পাওয়া গোটাকয়েক ভূতুড়ে মন্দিরের কথাই
আপনাদের জানাব।
দত্তাত্রেয় মন্দির
ভারতের মধ্য প্রদেশের
বেতুল জেলার গঙ্গাপুরে এই মন্দিরের অবস্থান। এই মন্দিরে যারাই যান তাদেরকেই ভূতে
ভর করে। যাদের ভূতে ভর করে তারা চিৎকার করতে থাকেন কিংবা মন্দিরের এক কোনার
নির্দিষ্ট একটি লোহার পাত ধরে ঝুলতে থাকে। আবার মাঝে মাঝে দেয়াল বেয়ে উপরে উঠা
শুরু করে। ভূত তাড়াতে অনেকেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষমেশ তারাও ঐ একই কাজ করতে
থাকেন।
দেবী মহারাজ মন্দির
এই মন্দিরের অবস্থানও
ভারতের মধ্য প্রদেশে। এই মন্দিরে মানুষ আসে ভূত তাড়ানোর জন্য। প্রতিবছর এখানে
ভূতের মেলা হয়ে থাকে। এই মন্দিরে গেলে দেখা যায় যে অনেকেই এদিক ওদিক ছোটাছুটি
করছে। আসলে তাদেরকে ভূতে ধরেছে। তারা ভূত তাড়ানোর জন্যই এসেছে।
হজরত সইদ আলি মিরা দাতার
দরগা
ভারতের গুজরাটের উনিভা
গ্রামে এই দরগাটির অবস্থান। যাদের ভূতে ধরেছে তাদের শরীর থেকে ভূত তাড়াবার জন্য
প্রিয়জনেরা তাদেরকে এই দরগাতে নিয়ে আসে। সব ধর্মের মানুষই ভূত তাড়াতে এখানে আসে।
তবে ভূত তাড়ানোর কৌশল কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর।
শ্রী কাস্তাভঞ্জন দেব
হনুমানজি মন্দির
এটাও গুজরাটে অবস্থিত। এই
মন্দিরে হনুমানের পূজা করা হয়। হনুমান ভক্তদের বিশ্বাস এখানে আসলে সকল ধরনের অশুভ
শক্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অতৃপ্ত আত্মা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই এই
মন্দিরে আসে।
মাহেন্দিপুর বালাজি মন্দির
ভারতের রাজস্থানে
মাহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরের অবস্থান। এই মন্দিরেই সবথেকে বেশি আজব কর্মকাণ্ড হয়ে
থাকে। এখানে ভূত তাড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে ঝাড়ফুঁক করা হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার
মানুষ আসেন প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য। তাদের প্রায়শ্চিত্ত করার পন্থাটাও অদ্ভুত। কেউ
দেয়ালে নিজেকে চেন দিয়ে বেঁধে রেখে কিংবা নিজের শরিরে গরম পানি ঢেলে প্রায়শ্চিত্ত
করে।