হোয়াইট হাউজেও রয়েছে ভূতের আনাগোনা

হোয়াইট হাউজেও রয়েছে ভূতের আনাগোনা


হোয়াইট হাউজ


ভূতের বাড়ি বলতে আমরা পরিত্যক্ত কোন বাড়ি কিংবা কোন পুরোনো বাড়িকেই চিন্তা করি পুরোনো বাড়ি দেখলেই অনেকে মনে করে যে এখানে ভূত থাকতে পারে মানুষ মনে করে এইসব পরিত্যক্ত বাড়িতে মানুষের আনাগোনা খুব কম বলেই ভূতেরা এখানে আশ্রয় নেয় কিন্তু আপনি কি শুনে অবাক হবেন যদি বলি আমেরিকার হোয়াইট হাউজেও আছে ভূতের বাসস্থান ?

লোকমুখ অনুযায়ী অনেকেই হোয়াইট হাউজে ভূতের অস্থিত্বের প্রমাণ পেয়েছে এমনকি সেখানে অনেকে আব্রাহাম লিঙ্কনের অশরীরী আত্মার অস্থিত্ব পেয়েছে। আব্রাহাম লিঙ্কন প্রেসিডেন্ট থাকা কালীন সময়েই তার ছেলে উইলি মারা যায়। তখন নাকি তিনি সেখানে প্ল্যানচেট এর মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত। এও শুনা যায় আব্রাহাম লিঙ্কন মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রীও তার সাথে প্ল্যানচেটের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা চেষ্টা করত। মামলার নামক এক ব্যক্তি ছিল যে কিনা ভূতেদের ছবি আঁকতে পারত। আব্রাহাম লিঙ্কনের স্ত্রী তাকে দিয়ে একটি ছবি আঁকিয়েছিল যেখানে আব্রাহাম লিঙ্কনের আবছা অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।

হোয়াইট হাউজে ভূত থাকলেও কাউকে কোন দিন ক্ষতি করেনি।

এছাড়া এখানে আরো অনেকের ভূতের আনাগোনাও লক্ষ করা গেছে। আর এসবের সাক্ষী সেখানে কর্মরত কর্মচারীরাই। তাদের মতে সেখানে এখনও আমেরিকার প্রথম ফার্স্ট লেডি এবিগেইল অ্যাডামস এর আত্মা ঘুরে বেড়ায়। তাকে নাকি হলওয়েতে ঘুরতে দেখা যায়।
এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যরিসন এর আত্মাও নাকি মাঝ রাতে চিলেকোঠাতে দেখতে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে হ্যরিসনের আত্মা নাকি সবকিছু ভাংচুর করা শুরু করে দেয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের আত্মাকে নাকি অনেকে তার শয়নকক্ষে শোয়ে থাকতে দেখা যায়।

এছাড়া মাঝে মাঝে হোয়াইট হাউজের একসময়ের বাগান পরিচারিকা ডলি ম্যাডিসনকেও বাগানে কাজ করতে দেখা যায়।

এসকল ভৌতিক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী নাকি স্বয়ং হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাই।

Post a Comment

Previous Post Next Post