ভিলানুয়েভা বিদ্যুৎকেন্দ্র |
চোখ
বন্ধ করে যদি মরুভূমির কথা চিন্তা করি তাহলে বিশালাকায় বালুর মাঠের দৃশ্যই ভেসে উঠবে নিঃসন্দেহে। তেমনি বিশাল বালুময় জায়গা জুড়ে মেক্সিকোর উত্তরে চিহুহুয়ান মরুভূমির অবস্থান। যতদূর চোখ যাবে ততদূর শুধু গাছপালা শূন্য বালুর উদ্যান।
তবে
এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাবে মাক্সিকোর কোওহিলা রাজ্যের অংশটুকুতে। বিশাল জায়গা জুড়ে দেখা মিলবে নীলের সমারোহ। আসলে, কোওহিলা রাজ্যের এই নীরব প্রসারিত
স্পটটিকে ইটালিয়ান জ্বালানি কোম্পানি ‘এনিল’ ভিলানুয়েভা নামে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বেছে নিয়েছে। যেখানে রয়েছে ২.৩ মিলিয়ন
সৌর প্যানেল যা কিনা ২২০০
ফুটবল মাঠের সমান জায়গা নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। যেটিকে উপর থেকে দেখলে একটি সূর্যমুখী ফুলের মত মনে হয়।
চীন
ও ভারত ব্যতীত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌর প্রকল্প।
প্যানেলগুলিকে সূর্যের সাথে টানডেমে পরিণত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের
জন্য এনিল এর ৬৫০ মিলিয়ন
ডলার খরচ হয়েছে।
এই
প্রকল্পটির লক্ষ হচ্ছে ২০২৪ নাগাদ ৪৩ শতাংশ বিদ্যুৎ
উৎপাদন করা। যা কিনা ১.৩ মিলিয়ন পরিবারে
বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখবে।
মেক্সিকো
সরকার নতুন আইনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে নিলামের
ব্যবস্থা করে দেয়েছে, যেখানে প্রাইভেট কোম্পানি গুলো বিড করে ইনভেস্ট করতে পারবে। এই মহৎ প্রকল্পটি
মেক্সিকোর অর্থনৈতিক দিকটাকে একদম অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো
এখানে ইনভেস্ট করার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
ইতিমধ্যে
এই প্রকল্পটিতে ৮.৬ বিলিয়ন
ডলার ইনভেস্টমেন্ট জমা পরেছে। তিনটি নিলাম এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সরবরাহকৃত উত্পাদনমূল্য ৫০ ডলার প্রতি
মেগাওয়াট-ঘণ্টা থেকে ২০ ডলারে নেমে
এসেছে।
এই
প্রকল্পের কল্যানে মেক্সিকোর অর্থনীতি এখন ক্রমশ সবুজের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার কারণে আমরা বলতেই পারি একটি সোলার পার্কের দ্বারা বালুময় বিস্তৃত একটা মরুভূমিকে সবুজ করে তোলার চেষ্টা চলছে।
সূত্র
:- AFP