তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ১০টি দেশ হবে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ১০টি দেশ হবে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ


প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা সবাই জানি। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রান গিয়েছিল এবং হয়েছিল বিশাল ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু কি হবে যদি হয় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!! অনেকের ধারণা এর পরিণাম হতে পারে কল্পনারও বাইরে। হয়তবা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো পৃথিবী। কারণ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পারমাণবিক যুদ্ধ। এটাই মনে করেন সবাই। সবকিছুর পরেও কিছু কিছু দেশ থাকবে সুরক্ষার বলয়ে আবদ্ধ। এরকম ১০ টি দেশ হল-

 

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড সবার মাঝে একটি সুপরিচিত শান্তিপূর্ণ দেশ। প্রতি বছরেই গ্লোবাল পিস ইনডেক্স এ প্রথম তিনে অবস্থান করে। অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্বতমালা নিয়ে এই দেশের অবস্থান। সকল জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদনে এবং সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম নিউজিল্যান্ড। বিশ্ব রাজনীতি নিয়েও এর কোন মাথাব্যথা নেই। যার কারণে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে এর সম্ভাব্য লক্ষবস্তু হিসেবে সবার শেষের দিকেই থাকবে নিউজিল্যান্ড।


ফিজি

ফিজি

ফিজি একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে এর অবস্থান। যেটি একটি প্রচুর বনভূমি, খনিজ পদার্থ, খাদ্য ও মৎস্য ভান্ডার সমৃদ্ধ দেশ। এই দেশটি পৃথিবীর মূল ভূখণ্ড থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন যে, এটির নিকটতম দেশ অস্ট্রেলিয়াও ২৭০০ মাইল দূরে অবস্থিত। ফিজি মাত্র কয়েক হাজার সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। যা সবসময় গ্লোবাল পিস ইনডেক্স এ উপরের দিকে থাকে। আর এসব কারণেই ফিজি ভবিষ্যৎ কোন যুদ্ধ ধ্বংসলীলা থেকে নিরাপদ থাকবে।


টুভালু

টুভালু

ফিজির ন্যায় টুভালুও একটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। ফিজির খুব কাছেই এর অবস্থান। কিন্তু এই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি এবং জনসংখ্যাও মাত্র ১১০০০। প্রাকৃতিক সম্পদের তেমন উৎস নেই বললেই চলে। যার কারণে যেকোন ধরণের যুদ্ধের লক্ষবস্তু হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম।


আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ড

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় একটি দ্বীপরাষ্ট্র হল আইসল্যান্ড। বিশ্বব্যাপী সংঘাতে জড়িত থাকা যেকোন দেশ থেকে এর অবস্থান বহু মাইল দূরে। আইসল্যান্ড, প্রচুর সামদ্রিক সম্পদ এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আইসল্যান্ড, তার সকল জনসংখ্যার ভরণপোষণে সক্ষম একটি দেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্সেও এটি একটি শীর্ষস্থানয়ীয় দেশ।


ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া

পৃথিবীর আত্মনির্ভরশীল দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া একটি। আত্মনির্ভর এই দেশটি, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ত দেয় ঐ দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে। ইন্দোনেশিয়া একদমই আমদানির উপর নির্ভর করে না। শুরু থেকেই ইন্দোনেশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে নিরপেক্ষভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা ইন্দোনেশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দাবানল থেকে সুরক্ষা করতে সক্ষম হবে।


চিলি

চিলি

দুনিয়ার সব দেশ যুদ্ধে গেলেও, চিলিতে হয়ত এর কোন প্রভাব পরবে না। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে চিলি একটি। প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হচ্ছে চিলি। প্রযুক্তিগত দিক থেকেও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে চিলি উন্নত একটি দেশ।


ভুটান

ভুটান

শূন্য কার্বনের দেশ বলা হয় ভুটানকে। অশান্তির দিক থেকেও শূন্য এই দেশ। সুউচ্চ পর্বতমালার বেষ্টনীর সুরক্ষায় ঘেরা দেশ ভুটান। বিশ্ব রাজনীতিতে সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় ভুটান। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রোষানল থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হবে।


গ্রীনল্যান্ড

গ্রীনল্যান্ড

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ হল গ্রীনল্যান্ড। ডেনমার্কের অধীনস্থ এই দ্বীপটি এতটাই দুর্গম যে ঐখানে পৌছানো অনেক কঠিন। যার কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্রীনল্যান্ড হতে পারে একটি আদর্শ আশ্রয়স্থল।


অ্যান্টার্কটিকা

অ্যান্টার্কটিকা

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হলে সবচেয়ে সুরক্ষিত দেশ হবে অ্যান্টার্কটিকা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দূরবর্তী স্থান। এখানে রয়েছে বিস্তৃত বরফমন্ডল ও পেঙ্গুইনের হরেক প্রজাতির অবস্থান। রয়েছে খাদ্যাভাবও। এখানে বসবাস করাও মুস্কিল কাজের মধ্যে একটি।

দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা

আফ্রিকা মহাদেশের প্রচুর খাদ্যের একাধিক উৎসের আবাসস্থল হল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রচুর উর্বর জমি রয়েছে এখানে এবং প্রচুর মিষ্টি জলের উৎস হল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হলে, লুকানোর আদর্শ যায়গা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু তারপরেও বিশ্ব রাজনীতির অস্থিতিশীল অবস্থা হয়ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বারে বারে। আর তা হলে পৃথিবীর সবার জন্যই হতে পারে দুশ্চিন্তার বিষয়। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা যে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকে অনেকগুন বেশি হবে তা সহজেই অনুমেয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post